আমাদের সম্পর্কে
নিউ বাংলা টিভি ‘সমস্যা নয় সমাধানে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা ভাষা আর সংস্কৃতিকে ধারণ করে ১০ জানুয়ারি ২০১৮ সালে পলিয়ার ওয়াহিদ, (কবি ও সাংবাদিক) ও আল মোমেন (উদ্যোক্তা ও কোচ) প্রতিষ্ঠা করেন যুগোপযোগী অনলাইন টেলিভিশন চ্যানেল নিউ বাংলা টিভি।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই বাংলাদেশ। সুখী, সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে বাংলার আপামর জনসাধারণ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। ৩০ লাখ প্রাণ, বহু ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি লাল-সবুজের পতাকা। দেশের দিগন্তে উদিত হয়েছে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। তবে দেশ গড়ার সংগ্রাম চলছে এখনো।
আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের দেশ গড়ে তুলতে প্রয়োজন সমাজের চিন্তা, তথ্য, মত ও আলোচনা-সমালোচনার অবাধ প্রবাহ। প্রয়োজন নীতিভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক ও সর্বোচ্চ মানের পেশাদারি সাংবাদিকতা। দেশের সেই সংগ্রামের সারথী হতে নিউবাংলা টিভি অঙ্গীকারবদ্ধ।
জীবনের যেখানেই সমস্যা সেইসব সমস্যার সমাধানবিষয়ক ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করি আমরা। সবাই স্বীকার করবেন যে, সব সমস্যার মূল কারণ হল অজ্ঞতা। তাই জ্ঞান দানের মাধ্যমে নিউবাংলা সমস্যার সমাধান করতে কাজ করে যেতে চায় নিরবিচ্ছিন্নভাবে।
কাউকে মাছ ধরে উপহার দেওয়ার চেয়ে, মাছ ধরা শেখানো ভালো। ফলে জ্ঞানের প্রধান মাধ্যম বই নিয়ে নতুন ধরণের ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি ও কবিতা-গান-গজলসহ সমাধানমূলক বিনোদনের ভিজ্যুয়াল তৈরি করি আমরা। একই সাথে অনলাইনে বই প্রকাশ ও বিক্রির মাধ্যমে সেবাদান করার পাশাপাশি কাগজের বইও প্রকাশ করি আমরা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে ধারণ করে নিউ বাংলা টিভি একঝাঁক তরুণ-তরুণী নিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে হাজার হাজার দর্শকের কাছে বস্তুনিষ্ঠ বুকরিভিউ ও মানসম্মত নাটক-গান-গজল তুলে ধরছে। আদর্শ, নীতি, সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা প্রচার করি লাইফস্টাইল, শিক্ষা, জানা অজানা, বিখ্যাত ব্যক্তিদের উক্তি, ভেষজ ও স্বাস্থ্য চিকিৎসার কন্টেন্ট।
আমরা খুব দ্রুত নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন ও টকশো শুরু করতে যাচ্ছি। পক্ষপাতহীন সংবাদ পরিবেশন ও সাহিত্য সংস্কৃতির বিভিন্ন অনুষ্ঠান বেশি বেশি আমাদের লক্ষ্য। শুধু সংবাদ বা টকশো ও বিভিন্ন প্রোগ্রাম ছাড়াও সমসাময়িক ঘটনা, আলোচনা অনুষ্ঠান, প্রামাণ্যচিত্র, খেলাধুলার খবর, ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির খবর প্রচার করবে নিউবাংলা।
নিউবাংলা ভিন্নধর্মী বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে বিশ্বাসী। বিশেষ করে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে নির্মিত নাটক, টেলিফিল্ম, সংগীতানুষ্ঠান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, কেরাত প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান, কুইজ ও ভ্রমণবিষয়ক শো ব্যাপকভাবে করতে চাই আমরা।
ঈদ উৎসব, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসের মতো বছরের বিশেষ দিনে ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান দর্শকদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করবে নিউবাংলাটিভি। মানুষের অপার আগ্রহ আর আস্থা-ভালোবাসায় খুব দ্রুতই নিউবাংলা পরিণত হয়েছে জনপ্রিয় অনলাইন টিভি চ্যানেলে। সারা বিশ্বে প্রচারিত হচ্ছে নিউবাংলা।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বাংলাভাষী দর্শকদের আশা পূরণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টিভির পাশাপাশি নিউবাংলা অনলাইন বিশ্বের যেখানে যখনই কোনো ঘটনা ঘটছে, তখনই সেটি তুলে ধরতে চায়। সে লক্ষ্যে এই অনলাইন টেলিভিশনের সঙ্গে ‘নিউজ’ বিভাগে অনলাইন পত্রিকার কার্যক্রম পরিচালনা করবে দ্রুত। অনলাইনে খবর পৌঁছে যাবে পাঠকের কম্পিউটার, ল্যাপটপ, কিংবা স্মার্টফোনে । সাথে সাথে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব চ্যানেলসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও পাওয়া যাবে নিউবাংলার সব ভিডিও।
যা কিছু আনন্দ দেয়, উৎসাহ জাগায়, বেদনাহত বা বিস্মিত করে, প্রশ্ন ওঠায়, স্বস্তি দেয় তার সবকিছুই আমরা সবার সামনে তুলে ধরতে কাজ করব অবিরাম।
এছাড়াও সামাজিক সেবামূলক কার্যক্রমে রয়েছে নিউবাংলার অনন্য দৃষ্টান্ত। ঢাকার বিভিন্ন সেলুনে বইপাঠের ব্যবস্থা করেছে। তাছাড়া অবহেলায় পড়ে থাকা মেধাকে গুরুত্ব দিচ্ছে নিউবাংলা। প্রতিবন্ধী হয়েও যারা ভিক্ষা করেন না সেইসব পজিটিভ চিন্তার মানুষকে বাছাই করে ভিডিও নির্মান করে অন্যদের ভিক্ষাবৃত্তি থেকে সরিয়ে আনতে কাজ করছি আমরা।
বই বা জ্ঞান কেন্দ্রিক আরো অনেক কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকতে চায় নিউ বাংলা। তরুণ প্রজন্ম, আগামীর পৃথিবীর জন্য আমরা একটি বস্তুনিষ্ঠ, উন্নয়নকামী গণমাধ্যম গড়ে তুলতে চাই।
নীতির প্রশ্নে আমরা সব সময়ই আপসহীন ছিলাম, আছি, থাকব। সত্যনিষ্ঠ তথ্য উপস্থাপন ও বস্তুনিষ্ঠ বিনোদন দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। সময়, ইতিহাসকে সাক্ষী করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
নিউবাংলা দেশ ও জনগণের টেলিভিশন। নিউবাংলা আপনার চ্যানেল। আপনার সহযোগিতা, মতামত নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই বহুদূর। আপনার সুচিন্তিত মতামত আমাদের সমৃদ্ধ করবে সব সময়।
পরিচালনা পর্ষদ
পলিয়ার ওয়াহিদ

পলিয়ার ওয়াহিদ নিউ বাংলা টিভির প্রতিষ্ঠাতা । কবিতা, সাংবাদিকতা, ইতিবাচক রাজনীতি, সমাজসংস্কার ও সংস্কৃতি রক্ষার নিরলস কর্মী তিনি। নিয়েছেন মনোবিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রি।
এ যাবৎ বাজারে তাঁর ৫টি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। ‘পৃথিবী পাপের পালকি, সিদ্ধ ধানের ওম, মানুষ হবো আগে (কিশোর কবিতা) হাওয়া আবৃত্তি, সময় গুলো ঘুমন্ত সিংহের ও দোঁআশ মাটির কোকিল’ গ্রন্থ সমূহ বইপাড়ায় ব্যাপকভাবে পরিচিত। ‘দোআঁশ মাটির কোকিল’-এর জন্য পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে পেয়েছেন ‘কৃত্তিবাস, কালিপদ রায় সম্মাননা পুরস্কার’। এছাড়াও ‘সিদ্ধ ধানের ওম’ তাকে ব্যাপকভাবে পরিচিত ও জনপ্রিয় করে তোলে।
বাংলার কাব্যপাড়ায় পলিয়ার ওয়াহিদ অপ্রতিরোধ্য একটি নাম। বাংলাদেশের শিল্পসাহিত্যে ও গণমাধ্যমে সাহসী ও ভিন্ন মেজাজের ব্যক্তিত্ব হিশেবে পরিচিত তিনি । তাঁর সবচেয়ে পছন্দ বই পড়া ও ঘুরে বেড়ানো। বই প্রেমিক এই মানুষটি বই পড়ার স্বাদ ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য গড়ে তুলেছেন ‘বই বাংলা’ নামে একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন। এছাড়াও তিনি নিজেই তৈরি করতে পারেন মজাদার খাবার। তাই খেতে ও খাওয়াতেও ভালোবাসেন খুব।
মো. আল মোমেন

মো. আল মোমেন নিউ বাংলা টিভির সহপ্রতিষ্ঠাতা । তিনি নানান পরিচয়ে মানুষের কাছে পরিচিত। লাইফ কোচ, উদ্যোক্তা, প্রযুক্তি ও মানিটাইজেশন স্পেশালিস্ট, ক্যারিয়ার এবং বিজনেস এডভাইজার ইত্যাদি ভূমিকায় জনমানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।
২০০৭ সালে তাঁর কর্মজীবন শুরু করার পর থেকে তিনি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে নানামুখী বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তিনি তার অভিজ্ঞতাকে জনমানুষের কল্যাণে ব্যপকভাবে কাজে লাগানোর জন্য গড়ে তুলেছেন প্রযুক্তি প্লাটফরম এটিজেড টেকনোলজি সহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে গড়ে তুলেছেন অনলাইন পাঠশালা উইনার্স লিডার। পাশাপাশি তিনি পরিচালনা করছেন সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্যাধিমুক্ত সমাজ।
তিনি বিশ্বাস করেন জীবন একটা জার্নি, এখানে অবসর বলতে কিছু নেই, গন্তব্যে পৌঁছাই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। তিনি সবসময় জানতে ও জানাতে পছন্দ করেন।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
‘অনলাইন টেলিভিশন’ এই স্বপ্নের সঙ্গে শুরুতে যুক্ত ছিলেন আরো তিন কাণ্ডারি সজীব অধিকারী স্বাগত (সংস্কারক ও সাংবাদিক) এবং মাসুম বিল্লাহ (অনলাইন মার্কেটিং এক্সপার্ট) ও মোতাহার তালুকদার (অনলাইন মার্কেটিং ও ভিডিও এডিটিং এক্সপার্ট)। তাদের কাছে নিউ বাংলা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি চাঁদপুরে স্বাগত পরিচালিত নাটক টিমের প্রত্যেক সদস্যের প্রতি।
আমরা সবাই সবার স্বপ্নের অংশ। যারা ব্যক্তিগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে নিউবাংলার এই স্বপ্ন জগত থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন নিউ বাংলা চিরকাল তাদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। কারণ শুরুতে তাদের সমর্থন ছাড়া হয়তো নিউ বাংলা এত দূর আসতে পারত না।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি নিউবাংলার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের সবাইকে।