Watch The Best Educational TV Live Programs & News Update Today

info@newbangla.tv


সন্তান ধারণে অক্ষম মহিলারা সন্তান ধারণের জন্য যেভাবে খাবেন দূর্বাঘাস

সন্তান ধারণে অক্ষম মহিলারা সন্তান ধারণের জন্য যেভাবে খাবেন দূর্বাঘাস।

দূর্বা ঘাস আমাদের কাছে আগাছা হিসেবেই পরিচিত। অবাঞ্চিত হলেও এই গাছটির রয়েছে মূল্যবান অনেক ওষুধিগুণ। দূর্বা ঘাস রক্তক্ষরণ, আঘাত জনিত রক্তপাত, গ্যাস্টিক ও আমাশয়সহ আরো অনেক রোগে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আপনি কি জানেন দুর্বা ঘাসই সন্তান ধারণে অসমর্থ নারীকে মাতৃত্বের স্বাদ এনে নিতে পারে? তাই আজকের আলোচনার বিষয় ‘দুর্বা ঘাস’।

দুর্বা ঘাস পরিচিতি

দূর্বা ঘাসের ইউনানী নাম ও আয়ুর্বেদিক নাম-দুব। তবে ইংরেজী নাম- Bermuda grass। তার মানে এটি একটি বিদেশি জাতের ঘাস। দূর্বা ঘাসে প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট ও বেশ কিছু অর্গানিক এসিড পাওয়া যায়। আমরা অনেক ধরণের ওষুধি গাছ চিনি। কিন্তু সঠিক পদ্ধতি না জানার কারণে ব্যবহার করতে পারি না। তাই আজ জানবো দুর্বা ঘাস ব্যবহারের সঠিক পাঁচটি নিয়ম। প্রিয় ভিউয়ার্স পুরো ভিডিওটি মনোযোগ সহকারে দেখুন।

ব্যাবহার বিধি

প্রথমেই বলতে চাই, দিন রাত যারা গ্যাস. গ্যাস.. করে পাগল হয়ে যান। কিংবা গ্যাসের ভয়ে পকেটে ওষুধ নিয়ে ঘোরেন কিংবা কিছু খেতে ভয় পান তাদের জন্য এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর। এছাড়া আমাশয় হলে দূর্বা ঘাসের রস দারুণ কাজ দেবে। ভেষজ গবেষকরা বলছেন, শুরুতে পরিমাণ মতো ঘাস তুলে তা ভালোভাবে বিশুদ্ধ পানিতে ধুয়ে নিন। তারপর বেটে রস বের করুন। গ্যাস্টিকে এই রস প্রতিদিন খালি পেটে ২ থেকে ৩ চামচ করে খেতে হবে। আর আমাশয় দূর্বা রসের সঙ্গে ডালিম পাতার রস ৪ থেকে ৫ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার খেতে হবে। এভাবে ১০ থেকে ১৫ দিন খেলে গ্যাস্টিক ও আমাশয় চিরতরে ভালো হয়ে যাবে। যাদের দীর্ঘস্থায়ী বা পুরনো আমাশয় রযেছে তারা দূর্বা ঘাসের রস দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে আরো বেশি উপকার পাবেন।

দ্বিতীয়ত, দূর্বা ঘাসের রস ব্যবহারে চুল ওঠা বন্ধ হয়। যাদের টাক পড়ে গেছে বলে দুঃচিন্তা করছেন তাদের এই পদ্ধতিটি খুবই কাজে দেবে। একটি পাত্রে এক লিটার নারিকেল তেল হালকা তাপ দিয়ে ফেনা দূর করে নিন। তারপর ২০০ মিলিলিটার দূর্বা ঘাসের টাটকা রস তেলে মিশিয়ে আবার আগুনে গরম করুন। ঠান্ডা হলে ছেকে কাচের বোতনে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন গোসলের ১ ঘণ্টা আগে ওই তেল চুলে মাখুন। নিয়মিত ২ থেকে ৩ মাস ব্যবহার করলে চুল পড়া একেবারে বন্ধ হবে যাবে।

তৃতীয়ত, দূর্বাঘাস চর্ম ও দন্ত রোগের জন্য খুব দারুণ কাজ করে। প্রতিদিন সকালে কেউ যদি দূর্বাঘাস মুখে নিয়ে চিবিয়ে তার রস খেতে পারেন তাহলে আপনার যাবতীয় চর্ম ও দন্ত রোগ সেরে যাবে। বিশেষ করে যাদের দাঁতে ব্যথা ও দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত পড়ে তাদের দ্রুত কাজ করে এটি। এবং দাঁতের লালচে ভাব কাটিয়ে সাদা করতে জুড়ি নেই দূর্বা ঘাসের। ইউকিপিডিয়া বলছে, পায়োরিয়া নামক দাঁতের রোগে দূর্বা মাজন হিসাবে ব্যবহার করলে আরোগ্য হয়।

চতুর্থত, দূর্বা ঘাস শরীরের রেচনতন্ত্রের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। যাদের প্রস্রাবে কষ্ট হয় অথচ পাথুরী রোগ হয়নি সেক্ষেত্রে দূর্বা রস দুধ ও পানি মিশিয়ে খেলে ভালো ফল দেয়। তবে যাদের অর্শরোগ আছে তাদের খাওয়া যাবে না। এছাড়া শরীরের কোনো স্থান কেটে গেলে দুর্বা ঘাস পিষে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়। এবং আঘাতজনিত ব্যথায় দূর্বা ঘাস ডাক্তারের কাজ করে।

পঞ্চমত, সন্তান ধারণে অক্ষম মায়েদের জন্য সুখবর। আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে, ইউনানী গবেষকরা বলছেন, দুর্বা ঘাস সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় একটি ওষুধ। যেসব নারীরা গর্ভধারণে অসমর্থ তারা দূর্বা ঘাস ও আতপ চাল এক সাথে বেটে বড়া তৈরি করে তারপর ভাতের সাথে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন খেলে কাঙ্খিত উপকার পাবেন। তবে একদিন খেয়েই বন্ধ করে দিবেন না। স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস রেখে অন্তত ১২ সপ্তাহ এক নাগাড়ে খেলে ইনশাআল্লাহ সুফল পাবেন।