মান্না দে’র গানে শেখ সাদির শিল্পী হয়ে ওঠার গল্প
শেখ সাদীর শিল্পী হয়ে ওঠার গল্পঃ
শেখ সাদী খান ১৯৮৪ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায় মাথাভাঙা নদীর তীরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানার কুমার নদীর ধারে। নদীপুত্র এই শিল্পী সপ্তম শেণিতে পড়া অবস্থায় মান্না দের গান মুখস্ত করে তা বড়দের মহলে গেয়ে দারুণ সমাদর পেয়ে যান। প্রথমে পরিবারের অমতে এবং পরে পিতা-মাতার দোয়া নিয়ে গান ও সুরের সাধনায় মেতে আছেন। তারপর রুজিরুটির জন্য উচ্চমাধ্যমিক পাস করেই চলে আসেন ঢাকা। ইষ্টওয়েষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পিয়নের চাকরি নিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। সেখানেই সাত বছর পর আবার লেখাপড়া শুরু করেন নিজের মেধা ও যোগ্যতার জোরে। কিন্তু ভাগ্য তার সুপ্রসন্ন ছিল না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হলেও প্রতিষ্ঠাতা ফরাস উদ্দিন ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেন ফলে উচ্চশিক্ষার দ্বার রুদ্ধ হয়ে যায় । ফলে সেখানের চাকরি ছেড়ে চলে আসেন। বর্তমানে মিউজিকে মাষ্টার্স করছেন। পাশাপাশি একটা বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত। তিনি ছোটবেলা থেকেই গান ও সুরের প্রতি মেতে ছিলেন। সুরই সৃষ্টা বলে বিশ্বাস করেন। রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, লালন, মোহাম্মদ রাফি, মেহেদী হাজানের গজল ও মান্না দে সহ ক্ল্যাসিক সব গানের প্রতি তার সীমাহীন দুর্বলতা। তাই গানই তার জীবন মরণ। গানই যেন সব। ছোটবেলায় সেনাবাহিনীর জলপাই রঙের পোশাক তার শিশুমনকে জয় করে নেয়। স্বপ্ন ছিল দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে সোপার্দ করবেন। কিন্তু সেখানেও শারীরিক উচ্চতা বাধ সাধে। ভালোই হয়েছে কারণ তাহলে হয়তো আমরা শিল্পী শেখ সাদী কে পেতাম না। পারস্য কবি শেখ সাদীর নামে অনুসারে তার বাবা এই নাম রাখেন। ছেলে কবি হতে না পারলেও শিল্পী হয়ে যেন সেই নামে সম্মান রাখছেন।