স্ত্রীকে যে ৮টি কথা কখনোই বলা উচিত নয়
মূলত সংসারে স্বামী-স্ত্রী দুজনের ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে কথায় আছে, সংসার সুখের হয় রমণীয় গুণে। তাই স্ত্রীকে ভালো রাখতে পারলেই আপনার পরিবার হবে সবচেয়ে সুখী। সে কারণে ‘স্ত্রীকে যে ৮টি কথা কখনোই বলা উচিত নয়’। সে কথাগুলোই আজ আমরা আলোচনা করব।
প্রিয় দর্শক শ্রোতা, নিউ বাংলা চ্যানেলে আপনাকে স্বাগতম। ‘সম্পর্ক সুন্দর করতে করণীয়’ শিরোনামে ভিডিওর কমেন্টে এক বন্ধু জানতে চেয়েছেন ‘সুখী পরিবার গড়তে কী করতে হবে।
সুখী পরিবার গড়তে করনীয়
সংসারে স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসায় খুনসুটি আর মান-অভিমান স্বাভাবিক ব্যাপার। প্রিয় মানুষের অনেক ব্যথা সহ্য হলেও অনেক সময় ছোট্ট একটি কথাও অনেক বড় হয়ে দাঁড়ায়। তাই আসুন জেনে নিই যে ৮টি কথা কখনেই স্ত্রীকে বলা উচিত নয়।
১. তুলনা না করা
নিজের মা বা অন্য নারীর সঙ্গে তুলনা টেনে কথা বলবেন না। এতে স্ত্রীর খুব আঘাত পান। মনে রাখবেন, মা মায়ের জায়গায়। স্ত্রীর জায়গায় স্ত্রী আলাদা আলাদা ভূমিকা পালন করেন। ধরেন, শখ করে স্ত্রী ইলিশ মাছ রান্না করলেন। খেতে খেতে আপনি বললেন, আমার মায়ের মতো হয়নি। মায়ের কাছ থেকে শিখে নিয়ো। সাধারণত স্ত্রীরা এ ধরনের কথা মেনে নিতে পারেন না।
২. খুত না ধরা
কোনো মানুষই পরিপূর্ণ নয়। প্রতিটি মানুষেরই কোনো না কোন খুত থাকে। তাই তুমি কালো, তুমি বেটে, তোমার নাক বোচা। এ ধরণের কথা স্ত্রীকে ভুলেও কখনই বলবেন না। এ কথা একবার বলে ফেললে সে আর কখনো ভুলতে পারবে না। ফলে আপনাকে মন থেকে ভালোবাসতে কষ্ট হবে।
৩. অন্য নারীর রূপের প্রশংসা না করা
তোমাকে সুন্দর লাগছে না। সুন্দর করে সাজতে পারো না? এ ধরনের কথা স্ত্রী কেন, ছেলেদের বললেও মনে কষ্ট পাবে। বিশেষ করে অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে তুলনা করলে স্ত্রীকে অপমান করা হয়। অন্য নারীর রূপের প্রশংসা তার সামনে একেবারেই করবেন না। কখনও বলবেন না, অমুকের স্ত্রী দারুণ, তমুকের প্রেমিকা সুন্দরী। নিজেকে স্ত্রীর স্থানে বসিয়ে বিচার করে দেখুন এটা কতোটা বিব্রতকর। আপনিও স্ত্রীর মুখে অন্যপুরুষের প্রশংসা সহ্য করতে পারছেন না।
৪. তার বাবা-মাকে কটুক্তি না করা
আপনার হয়তো স্ত্রীর বাবা-মাকে ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু এই বিষয়টি কখনো স্ত্রীকে বলবেন না। মনে রাখবেন, বাবা-মায়ের ব্যাপারে কটুক্তি কেউই পছন্দ করেন না। তাই স্ত্রীকে বাবা-মা তুলে কোনো কথা বলবেন না। তাহলে সারাজীবন সে আপনাকে মন থেকে ভালোবাসতে পারবে না। অযথা নিজের অপছন্দের কথা জানিয়ে স্ত্রীর কাছে অপ্রিয় হয়ে উঠবেন না।
৫. খাওয়া নিয়ে খোটা না দেওয়া
বুঝে বা না বুঝেই হোক খাওয়া নিয়ে অনেক সময় স্বামীরা স্ত্রীকে দু-চারটা কথা বলেনই থাকেন । কিন্তু কোনো মানুষকে তাঁর খাওয়ার বিষয়ে কিছু বলা উচিত নয়। মনে রাখতে হবে, কেউ বেশি খান, কেউ কম খান। একেক জনের খাদ্যাভ্যাস একেক রকম। স্ত্রীর প্রতি সচেতন থাকলে বুঝিয়ে খুবই বিনয়ের সঙ্গে বলবেন। কোনোভাবেই যেন ব্যঙ্গ বা তাচ্ছিল্য প্রকাশ না পায়।
৬. ধমক ও হুকুম সুরে কথা না বলা
‘তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না।’একথা কখনো বলবেন না। স্ত্রীকে খাবার বানানোর জন্য ধমক দিয়ে হুকুম করা ঠিক নয়। তার মাঝে আপনার প্রয়োজন বোঝার মানসিকতার তৈরি করুন। সে নিজে আপনার জন্য তৃপ্তিদায়ক খাবার তৈরি করবে। আপনিও তাকে রান্নার কাজে সাহায্য করতে পারেন। দেখবেন স্ত্রী খুব খুশি হবেন।
৭. প্রেমিকা বা সাবেক স্ত্রী নিয়ে কথা না বলা
সংসারে শান্তি চাইলে স্ত্রীকে কখনোই সাবেক প্রেমিকা বা স্বামীর কথা মনে করিয়ে দেবেন না । এতে অভিমানের বাষ্প এমন রূপ নেবে যে নিজেই নিঃশ্বাস নিতে পারবেন না। স্বস্তি চাইলে সব ভুলে যান। তার প্রসংশা করুন। তুমি অসাধারণ বলে কাছে ডেকে নিন।
৮. বয়স নিয়ে বিব্রত না করা
বয়স নিয়ে স্ত্রীকে কোনো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা ঠিক নয়। এটি নারীদের কাছে খুব স্পর্শকাতর বিষয়। সবসময় মনে রাখবেন, তিনি আপনার কাছে চিরযুবতী হয়েই থাকতে চান। বরং তাকে সুন্দর থাকার নানা ধরনের টিপস দিতে পারেন।