পুঁথি পাঠের আসর, পর্ব- ২
বাঙ্গালির নিজস্ব সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য নিউ বাংলার ধারাবাহিক প্রয়াস “গ্রাম-বাংলার হারিয়ে যাওয়া পুঁথি পাঠের আসর, পর্ব ২”।
নিউ বাংলা, বাঙ্গালির নিজস্ব সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে অপরিসীম পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলা সংস্কৃতির ভান্ডার থেকে তুলে আনা হল গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া পুঁথি।
পুঁথি লেখকঃ কাব্য কামরুল।
পুঁথি পাঠকঃ মীর্জা শামীম।
সহযোগী পাঠকঃ মফিজুল ইসলাম, সাব্বির হোসেন।
বাংলাদেশের যদি কোন ইউনিক বা গর্ব করে বলার মত কিছু থাকে তাহলে তা হচ্ছে পুঁথি পাঠ। একসময় গ্রামের মানুষের বিনোদন ও শিক্ষার মাধ্যম ছিল এই পুঁথি পাঠ। সাধারণত সন্ধ্যায় কোন এক বাড়ির উঠানে জড় হয়ে সবাই এই পাঠ শুনত। পুঁথি পাঠের ভঙ্গিমা একে দিয়েছে স্বতন্ত্রতা। বর্তমান প্রজন্ম পুঁথি পাঠের সাথে পরিচিত নয়। এর জন্য দায়ী আমাদের স্যাটেলাইট চ্যানেল গুলো। আরেকটি কারণ হল- সমসাময়িকতা অর্থাৎ পুঁথির কাহিনীগুলো অনেক পুরাতন। কেউ এই পুরাতন পুঁথি শুনতে আগ্রহী হবে না। আমাদেরকে আধুনিক ও সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে পুঁথি রচনা করতে হবে যেমন মুক্তিযুদ্ধ, পুঁজিবাজার, স্বৈরাচার আন্দোলন, সমসাময়িক প্রেম ভালোবাসা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে পুঁথি লিখতে হবে। যারা পুঁথি লিখে তাদের শায়ের বলে। এখন শায়ের হওয়া কি এত সোজা???
বাংলাদেশে একমাত্র কাব্য কামরুল নামে এক ব্যক্তি পুঁথির এ্যালবাম প্রকাশ করেছে। লোরক সোসাইটির পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই। লোরক আমাদের লোকসংস্কৃতিকে রক্ষা করে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তার সাংস্কৃতিক সৌন্দর্যের মাধ্যমে তুলে ধরতে চায়। আমরা যদি আমাদের শেকড়কে ভুলে যাই তাহলে জাতি হিসেবে আমরা মাথা তুলে দাড়ালেও আমাদের কোন বংশ পরিচয় থাকবে না।
একটি সুসংবাদ দিতে চাই। আমাদের লোরক পরিবারে তিনজন সদস্য আছে যাদের বিধাতা পুঁথি লেখার ক্ষমতা দিয়েছে। তারা সমসাময়িক অনেক বিষয় নিয়ে পুঁথি লিখতে পারে। লোরক তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে চায়। আমাদের ইচ্ছা আছে একটি পুঁথির এ্যালবাম প্রকাশ করা। যদি কেউ এই শায়েরদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে চান তাহলে আওয়াজ দিয়েন।