পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের অজানা কথা
দুই বৎসর আগে অসুস্থ অবস্থায় করাচিতে বসিয়া আমি আমার ‘জীবনকথা’ লিখিতে আরম্ভ করি. তারপর দেশে ফিরিয়া এই পৃস্তকের প্রথ খন্ড সমাপ্ত করিলাম। কিন্তু লিখতে বসিয়া মনে হইল, আমার জীবনকথা বুঝি কোনোদিনই শেষ হইবার নয়। জীবনের সুদীর্ঘ পথ-বাঁকে কতজনের সঙ্গে পরিচয় হইয়া কত বিচিত্র অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছি। কতজনের কাছে কত রকমের সাহায্য পাইয়াছি। তাঁহাদের কথাও একে একে লিখিতে হইবে। গ্রাম্যগাস সংগ্রহ করিতে আমাকে উভয় বঙ্গের বহু গ্রামে ঘুরিতে হইয়াছে। কলিকাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও অধ্যাপনাকালে এবং কলিকাতা ও ঢাকা সেক্রেটারিয়েটে চাকরিজীবনে আমার অনেক অভিজ্ঞতা জমা হইয়া আছে। ……
চিত্রালীতে এই পুস্তক ধারাবাহিক প্রকাশ করিয়া সোদর-প্রতিম এস এম পারভেজ আমার ধন্যবাদের পাত্র হইয়াছেন। চিত্রালীতে বহু পাঠক পত্র লিখিয়া গ্রন্থকারকে উৎসাহিত করিয়াছেন। একজন লিখিয়াছেন: ‘জসীম উদদীনের ‘জীবনকথা’ পড়িতেছি না মায়ের হাতের পিঠা খাইতেছি।’ ইহাদের সকলকেই আমার ধন্যবাদ জানাইতেছি।
জসীম উদদীন, পলাশবাড়ি, ১০ নং কবি জসীম উদদীন রোড, কমলাপুর, ঢাকা-১৪। (১লা জৈষ্ঠ ১৩৭১