অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ থেকে বাঁচতে কনডম ও পিল ছাড়া স্বাস্থ্যসম্মত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
কনডম, পিল বা জন্ম নিয়ন্ত্রণের আধুনিক যে কোনো পদ্ধতি ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপায়ে জম্মনিয়ন্ত্রণ করা শতভাগ সম্ভব।বর্তমান বিশ্বে এ পদ্ধতিটি খুব জনপ্রিয়তা লাভ করছে। কারণ কনডমের রয়েছে নানাবিদ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাছাড়া কনডম ব্যবহারে যৌন আনন্দ উপভোগে ব্যাঘাত ঘটে। অপরদিকে পিল গ্রহণে মেয়েরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হয়ে পড়েন। তাই প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সর্বজনীন হওয়া এখন সময়ের দাবী।
বন্ধুরা প্রথমে যে পদ্ধতিটি নিয়ে কথা বলব সেটা প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে প্রাচীন পদ্ধতি। সেক্ষেত্রে স্বামীকেই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হয়। এটা আপনারা সবাই জানেন তবু একবার স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। এই পদ্ধতিতে স্বামী-স্ত্রী মিলনের শেষ দিকে বীর্যপাত হওয়ার আগ মুহূর্তে স্বামী নিজেকে মিলিত অবস্থা থেকে সরিয়ে নিতে হবে। যাতে করে নিশ্রিত বীর্য যোনির বাইরে পড়ে। তবে এ পদ্ধতি মেনে চলা খুব কঠিন। কারণ এক ফোঁটা বীর্যের ফলেও কিন্তু গর্ভধারণ হতে পারে। আবার পুরুষসঙ্গী সবসময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ফলে একটা রিস্ক থেকেই যায়।
উত্তম পদ্ধতি
এই পদ্ধতিটি মূলত মেয়েদের মাসিক চক্রের উপর ভিত্তি করে। মেয়েদের মাসিক ঋতুস্রাব বা মাসিক পিরিয়ড প্রাকৃতিকভাবে নির্ধারিত। তাই একে ‘প্রাকৃতিক পরিবার পরিকল্পনা’পদ্ধতি বলা হয়। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এটাকে ক্যালেন্ডার পদ্ধতি বলে থাকেন। এতে এমন কিছু দিন আছে যা নিরাপদ দিন হিসেবে ধরা হয়। এই দিনগুলোতে স্বামী-স্ত্রী সহবাস করলেও গর্ভে সন্তান আসবে না।
যে সকল মহিলার ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে না তা আমারা ভিডিওটির শেষে আলোচনা করেছি।
এ পদ্ধতি কার্যকর করতে প্রথমে জেনে নিতে হবে আপনার স্ত্রীর মাসিকের নিরাপদ দিন কোনগুলো। এ জন্য সবার আগে জানা চাই তার মাসিক নিয়মিত হয় কিনা? হলে তা কতদিন পর পর হয়।
আপনার স্ত্রীর মাসিক যদি ২৮ দিন পর পর হয়, তাহলে পিরিয়ড শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকে নবম দিন পর্যন্ত আপনি নিরাপদ। এবং ১০তম দিন থেকে ১৯তম দিন পযর্ন্ত এই ১০ দিন অনিরাপদ। আবার ২০তম দিন থেকে ২৮তম দিন পর্যন্ত আপনি নিরাপদ।
আপনি যদি আরো সহজভাবে বুঝতে চান, পিরিয়ড শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকে ৯ দিন ও পিরিয়ড শুরুর আগের ৯দিন আপনার স্ত্রীর গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা নেই।
বন্ধুরা একটি কথা না বললেই নয় যে, ঋতু চলা কালীন সময়ে স্ত্রী সাথে সঙ্গম করা ইসলাম ধর্মে নিষেদ করা হয়েছে।
অনেকে এটাকে ঝামেলাপূর্ণ মনে করেন, কিন্তু একবার এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে এটা বেশ সহজ, আরামদায়ক। আরো সুবিধা হলো এতে কোনো বাড়তি ডিভাইস ব্যবহার করতে হয় না। সন্তান নিতে ইচ্ছুক দম্পত্তিদের নিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ সময় সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক। এবং এর কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই। তবে যাদের পিরিয়ড নিয়মিত হয় না তাদের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি প্রযোজ্য নয়।