Watch The Best Educational TV Live Programs & News Update Today

info@newbangla.tv


কবি আল মাহমুদ সম্পর্কে যা বললেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান

নিউ বাংলা প্রতিবেদক।

গত ৫ মার্চ রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে কবি আল মাহমুদ পরিষদের আয়োজনে আল মাহমুদ স্মরণে অনুষ্ঠিত হয়েছে নাগরিক শোকসভা।

শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘লোক লোকান্তর, কালের কলস ও সোনালী কাবিন- এই তিনটি কাব্যগ্রন্থ দিয়েই বাংলা সাহিত্যে স্থায়ী আসন করে নিয়েছিলেন আল মাহমুদ।

আল মাহমুদ বেঁচে থাকবেন চিরকাল বলে জানিয়ে জাতীয় অধ্যাপক আরও বলেন, সোনালী কাবিনে আঞ্চলিক ভাষার প্রয়োগ যেভাবে কাব্যভাষায় রূপ লাভ করেছে তা যে কোন ভাষার জন্য গৌরবের। আল মাহমুদের স্মৃতিকথা ‘যেভাবে বেড়ে উঠি’ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্মৃতিকথা। ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ রচনাও শিশু সাহিত্যে তার লেখা স্থায়ী আসন দিয়েছে। আল মাহমুদের রচনা আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে, আল মাহমুদ বেঁচে থাকবেন চিরকাল।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. মাহমুদ শাহ কোরেশী। এতে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- শিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী, সাবেক প্রধান বিচারপতি আব্দুর রউফ, কবি আল মুজাহিদী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান প্রমুখ।

শোকসভার আলোচনায় অংশ নেন কবি হাসান হাফিজ, কবি আবদুল হাই শিকদার, কবি রেজাউদ্দিন স্ট্যালিন, কবি শাহীন রেজা, কবি আতাহার খান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক কবি জাকির আবু জাফরের উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আল মাহমুদ পরিষদের আহ্বায়ক কবি আসাদ চৌধুরী।

স্বাগত বক্তব্যে কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, ভাষাকে নিজস্বতা দিতে পেরেছিলেন কবি আল মাহমুদ। তিনি সেই বিরল কবিদের একজন যাকে শনাক্ত করতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না। তিনি আরও বলেন, আল মাহমুদ তার জন্ম থেকেই এই বাংলার মাটি আকাশ নদীর সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি যত না বই পড়েছেন তার চেয়ে বেশি বাংলার প্রকৃতিকে বেশি পাঠ করেছেন, উপলব্ধি করেছেন।

কবি আল মাহমুদের কবিতা আবৃত্তি করেন- নাসিম আহমেদ, সীমা ইসলাম, শামীমা চৌধুরী, হাফসা মাহমুদ প্রমুখ।

এছাড়া সোনালী কাবিনের কবিকে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন- কবি হাসান হাফিজ, মতিন বৈরাগী, বকুল আশরাফ, কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ, জাফর আহসান প্রমুখ।