চিরতরে এলার্জি দূর করার উপায়
বন্ধুরা আজকের ভিডিওটি তাদের জন্য যারা এলার্জি ও এলার্জিজনিত যে কোনো চর্ম রোগে ভুগছেন। এছড়াও আরো দুটি গোপন রোগের উপকারিতা জানাবো। তো বন্ধুরা আপনাদের এলার্জিজনিত চর্ম রোগ খুব সহজে দূর করতে পারবেন আজকের এই টিপসের মাধ্যমে। তাই নিজেরা ভালো ভাবে জানার জন্য পুরো ভিডিওটি মনোযোগ সহাকারে দেখতে হবে ও ভিডিওটি বন্ধুদের জন্য বেশি বেশি শেয়ার করতে হবে।
এলার্জির মহাওষুধ
বন্ধুরা গাছটিকে আপনারা ভালোভাবে লক্ষ্য করুন। এতোক্ষণে হয়তো অনেকেই গাছটিকে চিনতে পেরেছেন। হ্যাঁ বন্ধুরা এটি আমাদের সবার পরিচিত পেয়ারা গাছ। বাংলাদেশের এমন কোনো বাড়ি নেই যে বাড়িতে পেয়ারা গাছ নেই। পেয়ারা আমরা সবাই খেয়ে থাকি। কিন্তু পেয়ারার পাতায় যে কি পরিমাণ গোপন শক্তি রয়েছে সে সম্পর্কে ক‘জনে জানি? এছাড়া পেয়ারা পাতা অনিদ্র দূর করে ও ছেলেদের নতুন শুক্রাণু তৈরি করে। এবং পেয়ারা পাতায় রয়েছে কিছু অসাধারণ স্বাস্থকর গুণ। তাই বন্ধুরা আজ আমি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। তবে বলে রাখা ভালো, এটা আপনারা নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করবেন। তবে আজকের টিপসটি হানড্রেড পারসেন্ট কার্যকর।
বন্ধুরা হাজার বছর ধরে গ্রাম গঞ্চের মানুষেরা এটি বিভিন্ন ধরণের চর্ম রোগের উপকারে পেতে ব্যবহার করছেন। আপনারা যদি কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণাগারে যান, দেখবেন তারা প্রচুর পেয়ারা গাছের চাষ করেন। এটির কারণ তাহলে কী? কারণ একটাই। কারণ পেয়ারা গাছ দ্বারা অনেক রোগের ওষুধ বানানো হয়। তাই আজকের ভিডিও আপনাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
প্রথমে আপনারা পরিমাণ মতো বা হাফ গ্লাস রস হওয়ার জন্য যতগুলো পাতা প্রয়োজন ততগুলো পাতা সংগ্রহ করুন। তারপর ভালোভাবে পরিস্কার পানিতে ধুয়ে নিন। পেয়ারার পাতায় রয়েছে এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট, যা কিনা চর্ম রোগে বিশেষভাবে কাজ করে থাকে। এরপর পাতাগুলো বেলেন্ডার বা শিলপাটায় পিষে হাফ গ্লাস রস বের করবেন। তবে রস অবশ্যই পরিস্কার কাপড় বা ছাকনি দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। হাফ গ্লাস রসে কিছু কালোজিরার গুড়া ব্যবহার করবেন। অবশ্য আস্ত কালোজিরা ব্যবহার করবেন না। কালোজিরা বাড়িতে গুড়া করে নিবেন কিংবা গুড়া করা কালোজিরা বাজার থেকে কিনতে পারেন। তবে পরিমাণ মতো কালোজিরা মিশাতে হবে। বেশি মেশাবেন না। তাহলে তিতা হয়ে গেলে খেতে অনেক কষ্ট হবে। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে হাফ গ্লাস রস খেতে হবে। এভাবে সবোর্চ্চ ১ সপ্তাহ খেলে কাজ হতে শুরু করবে। তবে ১ মাস খেলে ইনশাআল্লাহ আরো ভালো ফল পাবেন। তবে প্রতিদিনের টা প্রিতিদিন খেতে হবে। অনেকে বলেন ভাই ফ্রিজে রেখে খাবো। না, ফ্রিজে রেখে খাওয়া যাবে না। প্রতিদিন টাটকা রস খেতে হবে। তবে যারা কালোজিরা খেতে পারেন না তারা সামান্য পরিমাণ লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। এভাবে পেয়ারা পাতার রস খেয়ে গ্রামের অনেকে মানুষ উপকার পাচ্ছেন। আপনারা উপকার পাচ্ছেন কিনা সেটা আমাদের অবশ্য জানাবেন। আমরা আপনাদের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দ্রুত দিতে চেষ্টা করব।
ইনসমোনিয়া বা অনিদ্রা দূর করেঃ এছাড়া বন্ধুরা পেয়ারার পাতা ইনসমোনিয়া বা অনিদ্রা দূর করে শীতল ও আরামদায়ক ঘুম এতে দিতে পারে। পেয়ারা পাতায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, নার্ভাস সিস্টেমে যাতে কোনও ধরনের প্রদাহ সৃষ্টি না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখে। বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ এতো মাত্রায় বাড়িয়ে দেয় যে অনিদ্রার সমস্যা কমতে সময় লাগে না। এক্ষেত্রেও ঘুমোনোর আগে সামান্য পেয়ারা পাতার রস পান করতে হবে।
শুক্রাণু বৃদ্ধি করেঃ এছাড়া পেয়ারার পাতা ছেলেদের শুক্রাণু বৃদ্ধি করে তাদের বলোবান করতে সাহায্য করে। দুর্বল পুরুষের শরীরে শুক্রাণু বৃদ্ধিতে পেয়ারা পাতার জুড়ি মেলা ভার। তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পেয়ারা পাতার রস পূর্বের মতো পান করুন। বিবাহিত পুরুষরা দ্রুত ফল পাবেন এটা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।